এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় কিভাবে আয় করা যায়

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় কিভাবে আয় করা যায়

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন । affiliate marketing আপনাকে যে পরিমাণ টাকা আয় হিসেবে দেবে আপনি কোনদিনও কল্পনাও করতে পারেননি।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? এটি কে কিভাবে শুরু করবেন ? কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন ? How to make money with affiliate marketing.

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি জানুন (what is affiliate marketing in Bangla) ? বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা জানবো এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো আমরা, কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা টাকা আয় করা যায় তার সমন্ধে এবং কত টাকা আয় করা যাবে এর থেকে ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। এই প্রত্যেক টি প্রশ্নের উত্তর একদম সঠিক তথ্যসহ আমরা আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আপনাদের কাছে তুলে ধরবো। আপনি অনুগ্রহ করে এই তথ্যগুলি জানার জন্য আমাদের পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

Table of Contents
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি জানুন ?
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ?
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন অনলাইনে ?
যে কোন পণ্যের প্রচার বা বিক্রি কি ভাবে করবেন এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ?
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় মাসে অনলাইনের মাধ্যমে ?
কিছু লাভজনক এবং বিখ্যাত এফিলিয়েট প্রোগ্রাম সমূহ :
Affiliate marketing কি কি উপায়ে করা যায় অনলাইনে?
Affiliate marketing সম্পর্কীত প্রশ্ন:
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি জানুন ?
About affiliate marketing in Bangla

Affiliate marketing কি ? জানেন আপনি. যদি আপনার কোন ওয়েবসাইট রয়েছে বা কোন ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলকে আপনি চালাচ্ছেন তাহলে আপনি আপনার ইনকাম কে আরো বহু গুণে বাড়িয়ে নিতে পারেন এফিলিয়েট মার্কেটিং য়ের মাধ্যমে।

এটা একটা প্রমাণিত সত্য যে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে বিভিন্ন ব্লগার বা ইউটিউব পরিমাণে ইনকাম করে থাকে। এমনিতেই যে কোন ব্লগ থেকে টাকা আয় করার উপায় বা ইউটিউব থেকে অনলাইনে ইনকামের উপায় অনেক রয়েছে আমাদের কাছে তাদের মধ্যে একটি সেরা মাধ্যম হল গুগল এডসেন্স। 

এই Google adsense ছাড়াও আজকালকার দিনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার চাহিদা অনেক অংশে বেড়ে গিয়েছে তার মূল কারণ হলো এখান থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আয় করা যায় এবং তা অধিক লাভজনক হয় এবং কম পরিশ্রমে এই আয় করা যায়। আপনি এই সংক্রান্ত বিভিন্ন ইংরেজি প্রতিবেদন পেয়ে যাবেন কিন্তু বাংলা প্রতিবেদন সহজে পাবেন না । About affiliate marketing in Bangla আমরা চেষ্টা করেছি এর সম্পর্কে তুলে ধরার বিস্তারিত তথ্যসমূহ হবে । Affiliate marketing Bangla tutorial অনেক ভিডিও পাবেন youtube এর মধ্যে সেগুলোকে দেখতে পারেন।

আমরা শুরু করব যখন তখন আমাদেরকে অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করে শুরু করতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি তাড়াতাড়ি এবং প্রচুর টাকা আয় করার জন্য আপনার কাছে থাকতে হবে অবশ্যই হাই ট্রাফিক যুক্ত কোন একটি ওয়েবসাইট বা কোন একটি ইউটিউব চ্যানেল যেখানে সাবস্ক্রাইবার অনেক বেশি আছে।

শুধু youtube বা ওয়েবসাইট নয় আপনার কাছে যদি কোন পপুলারযুক্ত পেজ থাকে বা সোশ্যাল মিডিয়ার সাহেব থাকে তাহলে আপনার ওই ফলোয়ারদের মধ্যে আপনি একটা গ্রুপ করে নিতে পারেন এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে রোজগার করার জন্য। তাহলে সেখানেও তে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড টাকা সহজেই রোজগার করতে পারবেন।

আপনি কোন একটা ফেসবুকের গ্রুপেও এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন যদি আপনার ফ্রেন্ড বেস্ট থাকে তাহলে। affiliate marketing আপনি বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তবে অবশ্যই আপনার টাকা ইনকাম করার জন্য নিজস্ব মানসিকতা থাকতে হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

What is affiliate marketing in Bengali?

Affiliate marketing এটি হলো একটি অনলাইন মার্কেটিং করার ধরন বা উপাদান বলা যেতে পারে এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির যে পণ্য থাকে সেই পন্যকে বিক্রয় করে ইনকাম করতে হবে এছাড়াও তাদের পণ্য, ব্যান্ডের প্রচারের জন্য বিভিন্ন ছোট ছোট কোম্পানি বা বড় বড় কোম্পানি অনলাইনের বিভিন্ন প্রকাশকদের কাছে সাহায্য নিয়ে থাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যদি আপনি কোন কোম্পানির ব্র্যান্ড বা পন্য সাথে জড়িত হন সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে,  সোশ্যাল মিডিয়া পেজে, ইউটিউব চ্যানেলে, instagram তে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের সাহায্যে সেই ব্যান্ডের মার্কেটিং এ সাহায্য করার কাজ করতে হবে।

এটাকে আরেকভাবেও বলা যায় এফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন এক ধরনের পদ্ধতি যার দ্বারা আপনি যে কোন অনলাইন মাধ্যমে কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট কে ,অনলাইন স্টোরের ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট (physical product) বা অনলাইনে কেনা যাবে সেই রকম যে কোন জিনিস কে আপনি আপনার website, blog , facebok , Instagram বা youtube তে এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে তার কোম্পানি কে সহজেই  প্রোমোট করতে পারি। What is affiliate marketing in Bengali? সেই বিষয়ে আপনাকে আগে জানতেই হবে।

যদি সেই প্রোমোট করা লিংক এর মাধ্যমে আপনার প্রমোট করা জিনিসটি যদি কোন ব্যক্তি ক্রয় করে । তখন সেই ক্ষেত্রে আপনার লিংক থেকে প্রোডাক্ট ( product ) ক্রয় করার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ওই জিনিসের জন্য যে পরিমাণ টাকা দিয়ে ক্রয় করে তার থেকে কিছু পরিমাণ টাকা আপনার কাছে commission হিসেবে আসে। এই প্রক্রিয়াকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।

তবে আপনার এই আয় করা কমিশন কি পরিমান দেওয়া হবে তা অন্য অন্য প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হতে পারে আপনাকে ঠিক কি পরিমাণ কমিশন দেয়া হবে তা নির্ধারিত করেন যে কোম্পানির প্রোডাক্টের আপনি প্রচার করছেন সেই কোম্পানি যার এই বিষয়ে স্বাধীনতা আছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে যাওয়ার সময় আপনি আগেই জেনে নিতে পারবেন যে কোন প্রোডাক্টের ওপরে কি পরিমান কমিশন কোম্পানি আপনাকে দেবে সেই টাকার সম্পর্কে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যখন আপনি কোন প্রোডাক্ট আমাজন থেকে আমার প্রচার করা অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে প্রচার করেছি সেখান থেকে যদি প্রোডাক্ট কিনেন। তখন আপনি আগেই অ্যামাজনের স্ট্যান্ডার্ড রেট কমিশন গুলোকে জেনে নিতে পারবেন আপনি ঠিক কি পরিমাণ কমিশন প্রোডাক্ট এর উপরে পাবেন।

এক কথায় এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে কি বুঝায় জানেন – “affiliate marketing হলো বর্তমান অনলাইনের একটি মার্কেটিং এর পদ্ধতি যার মাধ্যমে অনলাইনে খুচরা বিক্রেতাদের দ্বারা বিভিন্ন ছোট ছোট বা বড় বড় কোম্পানি বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করে বা youtube চ্যানেলকে ব্যবহার করে বা সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার কে ব্যবহার করে তাদের কোন প্রোডাক্টের প্রচার করেন এবং তা বিক্রয় করলে তার থেকে তাকে কমিশন হিসাবে কিছু পরিমাণ টাকা প্রদান করে থাকেন।

এবং বর্তমানে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রোডাক্ট কে বিক্রয় করা হয় এই পন্থা ব্যবহার করে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যেমন কোন ডোমেইন বিক্রয় বা ক্রয়। বা কোন হোস্টিং বিক্রয় বা ক্রয়। এছাড়াও অনলাইন কোর্স বা কোন অনলাইন সফটওয়্যার এ ক্রয় বা বিক্রয় ইত্যাদি মার্কেটিং বা প্রচার বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হয় বা ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওর মধ্যে করা হয়।

শুধু তাই নয় এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হল আপনি ইন্টারনেটে থাকা যেকোনো অনলাইনে এর শপিং ওয়েবসাইটে নিজেকে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে রেজিস্টার করে। affiliate marketer হিসাবে আপনি সেই শপিং ওয়েবসাইটের থাকা বিভিন্ন জিনিসকে বিক্রয় করতে সাহায্য করেন যেমন সেটা টিভি হতে পারে বা সেটা মোবাইল হতে পারে বা সেটা জামাকাপড় হতে পারে বা সেটা সফটওয়্যার হতে পারে ইত্যাদি বিভিন্ন পণ্যকে বিক্রয়ের জন্য আপনাকে affiliate link শেয়ার করতে হবে। এবং এই এফিলিয়েট লিংক প্রমোট বা শেয়ার এর মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, যে আমি কোন একটা টিভি নেব সেই টিভি নেওয়ার জন্য । আমি অনলাইনে সার্চ করলাম আমার যে বাজেট আছে সেই দামের মধ্যে থাকা কোন টিভি। এখন একজন ব্লগার তার একটি প্রতিবেদনে বিভিন্ন টিভি সম্পর্কে একটি আর্টিকেল লিখেছেন। এবং সেই আর্টিকেলে প্রত্যেকটি টিভির বর্ণনার সাথে সাথে লাস্টে একটি লিঙ্ক দিয়েছেন সেই প্রোডাক্টটি কেনার জন্য। এখন ওই ব্লগারের প্রতিবেদনে আমার কোন একটি টিভি পছন্দ হয়ে যাওয়ার জন্য আমি সেটাকে কিনে নিলাম সেই লিংকে গিয়ে।

এই যে লিংক থেকে আমি ওই জিনিসটিকে কিনলাম সেই জন্য আমাকে কোন পরিমাণ এক্সট্রা টাকা দিতে হবে না কোম্পানির যে দাম ছিল সেই দামেই আমি টিভিটাকে কিনতে পারব । যেহেতু ওই ব্লগারের লিংক থেকে আমি ওই টিভিতে কিনেছি সেই জন্য ব্লগার ওই কোম্পানির টিভিটিকে প্রচার এবং বিক্রয়ের জন্য সাজেশন সহ ব্লগ আর্টিকেল লেখার জন্য কোম্পানি তাকে কিছু পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে দেবে। ঠিক এমন ভাবেই বিভিন্ন জিনিসকে অনলাইনে এফিলিয়েটিং মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রয় করে প্রচুর পরিমাণ টাকা আয় করছেন বড় বড় ইউটিউবার ব্লগাররা।

আজকের দিনে আপনার ব্লগে অনেক পরিমাণ ট্রাফিক আছে বা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ছাড়া ভিডিওতে অনেক পরিমাণ ভিউজ আছে তাহলে আপনি কিন্তু এটা কল্পনায় করতে পারবেন না যে কি পরিমান টাকা আপনি এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন । affiliate marketing আপনাকে যে পরিমাণ টাকা আয় হিসেবে দেবে আপনি কোনদিনও কল্পনাও করতে পারেননি।

আশা করি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার যে ধারণা ছিল তা অনেক অংশে ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পেরে গেছেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন অনলাইনে ?
আপনি বা আপনারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাজ করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন তবে কিভাবে শুরু করবেন সেই সম্পর্কে এখানে আমরা আলোচনা করব।

একজন কোন ব্যক্তিকে এফিলিয়েট মার্কেটিং চালু করার জন্য একটা ব্লগ ওয়েবসাইট থাকতে হবে বা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে বা অন্যান্য ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ থাকতে হবে। তবে এটা মনে রাখতে হবে সেটা আপনার যে কোন প্লাটফর্মে হোক না কেন সেই প্ল্যাটফর্মেতে আপনার অনেক ট্রাফিক বা ভিজিটর বা লাইক থাকতে হবে বা ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।

এর মূল কারণ হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি যে প্রোডাক্ট সম্পর্কে করবেন তা যেন অনেক মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং সেই পৌঁছানোর উপরে নির্ভর করে সেই প্রোডাক্টকে মানুষ কিনবেন তা নির্ভর করে।

আজকের দিনে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে একদিকে যেমন বিভিন্ন কোম্পানি তার প্রোডাক্ট কে বিক্রয় করতে প্রচার করছেন তেমনি বিভিন্ন ব্লগার বা ইউটিউব এই প্রোডাক্ট বিক্রয়ের সাহায্য করে দিয়ে মোটা টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে । যেমন ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি বা অনলাইনে কাপড় দোকান রয়েছে তেমন কোন কোম্পানি বা বিভিন্ন কোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে পরিচালনাকারী কোন কোম্পানি এইসব এফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত প্রোগ্রাম প্রদান করে থাকে বিভিন্ন ব্লগার বা ইউটিউবারদের।

আপনি সহজেই এরকম অনেক কোম্পানি খুঁজে পেয়ে যাবেন যারা এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কোম্পানির নাম মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এবং প্রোডাক্ট বিক্রয় করছে।

আপনাকে সেই সকল কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে Sign up করে নিতে হবে ও affiliate program বা network-এর  মধ্যে আপনার প্রোফাইল বা ড্যাশবোর্ড তে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টের সম্পর্কে বিবরণ পেয়ে যাবেন এবং এফিলিয়েট লিংক ওই কোম্পানির প্রোডাক্ট এর জন্য পেয়ে যাবেন।

সেই যে এফিলিয়েটর লিংক আপনি পেলেন সেই লিংককে ব্যবহার করে এরপরে আপনাকে আপনার কাজ শুরু করতে হবে আপনি এরপরে প্রোডাক্ট বিক্রির সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন সেই সম্পর্কে আপনাকে জেনে নিতে হবে।

যে কোন পণ্যের প্রচার বা বিক্রি কি ভাবে করবেন এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ?
এবার আপনাকে জানতে হবে যে আপনি কোন পণ্যটি বিক্রির জন্য প্রচার করবেন সেটাকে ঠিক করে নিতে হবে এবং সেইটা ঠিক করার পর আপনি ওই প্রোডাক্ট সম্পর্কে কোন একটা ভিডিও বানান বা কোন একটা ওয়েবসাইটে ব্লগ আর্টিকেল লিখুন। এবং আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার ব্লগ  আর্টিকেল বা ইউটিউব ভিডিওটি এমন ভাবে তৈরি করা যা আপনার ফলোয়ার্সদের বা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটরদের আকর্ষিত করবে।

আপনি আপনার আর্টিকেল যতটা আকর্ষণীয় করবেন বা আপনার ভিডিও শ্রোতাদের কাছে যতটা গ্রহণযোগ্যতা নেবে ঠিক সেই পয়েন্টের উপরেই নির্ভর করে থাকে আপনার প্রোডাক্ট কি পরিমান ক্রয় হবে আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

এটা আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আপনি যেন কোনভাবেই আপনার লেখা ব্লগ আর্টিকেল বা আপনার ইউটিউব ভিডিও ডেসক্রিপশনে আপনার প্রচারিত প্রোডাক্টের এফিলিয়েট লিংক যেন যুক্ত না করতে ভুলে যান এটি সম্পর্কে আপনাকে সতর্কিত থাকতেই হবে।

এছাড়া যদি আপনার কোন ইনস্টাগ্রাম পেজ বা অন্যান্য কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর পরিমাণে ফরোয়ার থাকে সেখানে আপনি কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে প্রচার করতে চান বা এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে রোজগার করতে চান তাহলে আপনাকে সেই সম্পর্কিত একটি পোস্ট করতে হবে এবং সেই পোস্টের ক্যাপশনতে আপনাকে এফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করতে হবে।

আপনি কোন কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা গুলোকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচার করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন । এটা মনে রাখতে হবে আপনার বিক্রয় লিংক ব্যবহার করে যত বাড়বে তত পরিমাণ টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

এটা হয়তো আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না যে বর্তমানে বিভিন্ন ব্লগার বা ইউটিউবাররা এই  এফিলিয়েট মার্কেটিং কে ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে টাকা বা কয়েক লক্ষ টাকা মাসে ইনকাম করছে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় মাসে অনলাইনের মাধ্যমে ?
আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ঠিক কি পরিমান টাকা রোজগার করবেন তা নির্ভর করছে আপনার ওপরে সম্পূর্ণ রূপে। বর্তমানে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে লোকেরা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন আয় করছে । তাই আপনি যদি এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

কিন্তু এই এফিলিয়েট মার্কেটিং কে বুঝতে আপনাকে কিছুটা সময় তার ওপর ব্যয় করতেই হবে আপনি প্রথম প্রথম এটা বুঝতেই পারবেন না যে কি জিনিস।

ধরুন আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল আছে যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর আছে এবং আপনি ওই ব্লগিংয়ের প্ল্যাটফর্মেতে কিছু টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করেন বা আর্টিকেল লেখেন। এবার আপনি যেহেতু ব্লগিং সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো কনটেন্টকে তৈরি করেছেন তখন আপনি আপনার সাইডে তাকে আপলোড করেছেন বা চ্যানেলে তার সংক্রান্ত ভিডিও দিয়েছেন তখন আপনার ওয়েবসাইটে আসা ব্যক্তিবর্গ ওয়েবসাইট সংক্রান্ত কিছু কেনার জন্য রুচি দেখাবেন সেটা হতে পারে ওয়েব হোস্টিং বা ডোমেইন।

আসল খেলা এখান থেকেই শুরু হবে । আপনাকে প্রথমে একটি কোন ভাল domain এবং hosting কোম্পানিতে গিয়ে তার মধ্যে affiliate হিসাবে নিজেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং তাদের প্রোডাক্ট সংক্রান্ত বিষয়ে ভিডিও বা কোন ব্লগ আর্টিকেল লেখে তার প্রোডাক্টকে প্রমোট করতে হবে এবং তা হতে হবে একদমই আকর্ষণীয় যা শ্রোতাদের বা যিনি ব্লগ টি করছেন তার কাছে বিষয়টি বোধগম্য হয় এবং তিনি আকর্ষণীয় হয়ে প্রোডাক্টটি কেনার জন্য আগ্রহ দেখান।

যেই সেই ব্যক্তি প্রোডাক্টটি কিনবেন তখনই একদম ১০% থেকে ২০% পার্সেন্ট পর্যন্ত টাকা কমিশনরূপে আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একাউন্টে প্রবেশ করবে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধরুন আপনি কোন একটি বিষয়ে ব্লগ লিখেছেন এবং সেই ব্লগে এসে মাসে প্রায় কুড়ি জন ব্যক্তি ওই প্রোডাক্টকে আপনার লিংকের মাধ্যমে গিয়ে কিনেছেন সেক্ষেত্রে যদি ওই প্রোডাক্টের দাম ৮০০০ টাকা হয় তাহলে প্রত্যেক জন আট হাজার টাকা দিয়ে কেনার জন্য আপনি কুড়ি পার্সেন্ট করে যদি কমিশন পান সেক্ষেত্রে আপনার মোট ইনকাম হতে পারে কমবেশি ওই মাসের জন্য-

৮০০০*২০ = ১,৬০,০০০/- টাকা ১,৬০,০০০*২০/১০০ = ৩২,০০০/-এক্ষেত্রে  আপনি ওই জন্য মোট ৩২,০০০ টাকা ওই এক মাসেই আয় করতে পারলেন।

অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি মাসে কি পরিমাণ টাকা রোজগার করতে পারবেন তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।  আপনার জন্য রোজগার করতে কিছু লাগবে না শুধু কঠিন হতে পারে প্রথম দিকটা কিন্তু পরবর্তীতে একবার যদি আপনি এই মাধ্যমে তে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নিজেকে তাহলে আপনি কি পরিমান টাকা রোজগার করতে পারবেন তা কল্পনা করতে পারবেন না।

ভারতবর্ষের বিভিন্ন ব্লগাররা এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কয়েক লক্ষ টাকা মাসে ইনকাম করে যাদের মধ্যে অনেক ইউটিউবার রয়েছে এবং অনেক ব্লগারও রয়েছে যারা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন ব্লগ আর্টিকেল লেখে বা ইউটিউব কে ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে টাকা রোজগার করেছেন। এবং এই এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আপনি যত খুশি টাকা রোজগার করতে পারেন এতে কোন বাধা নেই আপনি আনলিমিটেড টাকা রোজগার করতে পারেন। আপনাকে সহজেই ভেঙে পড়লে চলবে না আপনাকে এর জন্য কিছুদিন উক্তি লেগে থাকতে হবে এবং আপনি একটা সময় আসবে যখন যে পরিমাণ টাকা রোজগার করবেন তা আপনি নিজেও কোনদিনও কল্পনা করেননি।

কিছু লাভজনক এবং বিখ্যাত এফিলিয়েট প্রোগ্রাম সমূহ :
আজকালকার দিনে এমনিতেই অনেকগুলি ছোট-বড় ই-কমার্স সাইট আছে যেগুলিতে আপনি সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন এবং প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারবেন আমরা আমাদের গবেষণা থেকে বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করেছি এবং আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি যেগুলি আপনাকে প্রচুর পরিমাণে টাকা রোজগার করতে সাহায্য করবেন।

Amazon affiliate program – E-commerce দুনিয়াতে যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলি আছে অনলাইন ব্যবসার জন্য বা অনলাইন শপিংয়ের জন্য তার মধ্যে পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত একটি কোম্পানির নাম হলো আমাজন। আজকের দিনে অনেক বড় বড় ব্লগার আমাজন কোম্পানির এফিলিয়েশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।

আপনাকে প্রথমে অ্যামাজন এফিলিয়েট হিসাবে রেজিস্টার করতে হবে আমাজন এর নিজস্ব ওয়েবসাইট affiliate-program.amazon.com তে গিয়ে । তারপরে সেখান থেকে আপনি যে প্রোডাক্ট কে প্রচার করতে চাইছেন তার এফিলিয়েট লিংক নিয়ে আপনার ব্লগের মাধ্যমে প্রচার করুন বা ইউটিউব ভিডিওতে প্রচার করে সেই প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন রোজগার করতে থাকুন।

Flipkart affiliate program – ভারতবর্ষের একটি উল্লেখযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য জনপ্রিয় অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের নাম হল flipkart । যেখান থেকে আপনি সহজেই বিভিন্ন প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন । এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য প্রথমে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং পরবর্তীতে আপনি যে প্রোডাক্ট বিক্রয়ের জন্য প্রচার করবেন তার লিংক নিয়ে আপনার ব্লগে দিতে হবে বা ইউটিউব চ্যানেলে দিতে হবে এবং আপনার সেই দেওয়া লিঙ্ক থেকে ক্লিক করে যদি কেউ কোন প্রোডাক্ট কিনে সে ক্ষেত্রে আপনি রোজগার পাবেন।

Go daddy (domain & hosting) –আপনি আপনার ব্লগে বা ইউটিউব চ্যানেলে ব্লগিং বা হোস্টিং সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আর্টিকেল লেখেন সেক্ষেত্রে আপনি একজন গো ড্যাডি ওয়েবসাইটে একজন এফিলেটর হিসেবে নিজেকে নথিভুক্ত করে অনেক বেশি পরিমাণে কমিশন আপনি রোজগার করতে পারবেন ডোমেন এবং হোস্টিংয়ের অফারগুলিকে প্রচারের মাধ্যমে এবং এখান থেকে যদি কেউ আপনার ডোমেন এবং হোস্টিং কেনে সেক্ষেত্রে আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা রোজগার করতে পারবেন।

Hostinger affiliate network – ডোমেইন এবং হোস্টিং এর মার্কেটে রোজগার করার জন্য আরো একটি উল্লেখযোগ্য এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট হলো এটি । এর থেকে অনেক বেশি টাকা আপনি রোজগার করতে পারবেন । এই কোম্পানি প্রচুর পরিমানে কমিশন দেয়।

eBay affiliate program – আপনারা হয়তো কম বেশি সকলে শুনে থাকবেন ইবে নামক একটি অনলাইন ওয়েবসাইট যার মাধ্যমে অনলাইনে শপিং করা যায় বিশ্বের যে কোন প্রান্তে তিনি প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। আজকের দিনে ইবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা কমিশন হিসেবে রোজগার করতে পারবেন প্রোডাক্ট বিক্রির মাধ্যমে।

এছাড়াও আজকের দিনে আমাদের দেশে প্রচুর লোকাল ওয়েবসাইট রয়েছে যারা তাদের প্রোডাক্ট কে অনলাইনে প্রচার করার জন্য বা বিক্রি করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যবহার করে থাকে। এবং আপনাকে একটা ভালো পরিমাণ কমিশন তারা দিয়ে থাকেন। সেই সকল কোম্পানির খোঁজ করার জন্য আপনাকে গুগল তে গিয়ে সার্চ করতে হবে affiliate program  লিখে। এবং সেখানে গিয়ে আপনাকে নথিবদ্ধ করতে হবে একবার সম্পূর্ণ পড়ে নেবেন নথিবদ্ধ করার আগে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

Affiliate marketing কি কি উপায়ে করা যায় অনলাইনে?
এর জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু করতে হবে না আপনি ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার এর থেকে ভাল কোন সুযোগ পাবেন বলে মনে হয় না এফিলিয়েট মার্কেটিং এর দিয়ে কাজ করা শুরু করে দিন এবং প্রচুর পরিমাণ টাকা কে আপনি রোজগার করুন । একটা বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে নিচে তার বিবরণ দেয়া হলো

Blogging এর মাধ্যমে: যদি কোন ব্লগিং ওয়েবসাইট থাকে এবং সেখানে আপনি যদি পণ্য সম্পর্কিত ব্লগ আর্টিকেল লেখেন তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান এবং সেই লিংক দিয়ে পণ্য গুলির প্রচার করতে থাকুন রোজগার পাবেনই পাবেন।
Influencer হলে : আপনি যদি নিজে একজন social media influencer আপনি আপনার শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে গিয়ে বিভিন্ন প্রোডাক্টের প্রচার করে ইনকাম করতে পারেন ।

Review sites এর মাধ্যমে : আপনার যদি product review site থাকে তাহলে আপনি সেখান থেকে একাধিক ও আলাদা আলাদা বিভিন্ন পণ্যের প্রচার করে রোজগার করতে পারেন।
Social Media Ads এর মাধ্যমে: আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এফিলিয়েট প্রডাক্ট প্রচার করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

Search engines তে বিজ্ঞাপন: গুগলের মতো বিশ্ব বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট প্রমোটিং এর মাধ্যমে আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট নিয়ে আসতে পারবেন এবং আপনার আর্টিকেলগুলি তারা পড়াশোনা করে যদি কোন প্রোডাক্ট কিনে তখন আপনি লাভবান হবেন।

Affiliate marketing সম্পর্কীত প্রশ্ন:
আমরা আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আপনাদের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা জানি যে এর সম্পর্কে আরো বিশদে আপনাদের মনে থেকে যায় সেগুলি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

Affiliate program join করতে কত টাকা লাগে ? জানুন
আপনি মনে করেন এফিলিয়েট মার্কেটিং এ প্রবেশ করার জন্য আপনাকে প্রচুর টাকা দিতে হবে তাহলে তার সম্পূর্ণ ভুল আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন টাকায় দিতে হবে না একটি পয়সাও খরচা হবে না আপনার।
কি রকম প্রোডাক্ট প্রমোশন বা মার্কেটিং করবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং তে ?

সর্বদাই চেষ্টা করুন যে সম্পর্কিত টপিকে আপনি আপনার কন্ঠের লিখছেন সেই সম্পর্কিত প্রোডাক সমূহ কে ওই কন্টেনের জন্য বেছে নিন ধরুন আপনি আপনার ব্লগিংয়ে কোন একটি আর্টিকেল লিখছেন যাতে ওয়েবসাইট সংক্রান্ত বিষয় আছে তখন আপনি ওইখানে ওয়েবসাইট সংক্রান্ত ডোমেইন বা হোস্টিং কোম্পানির এফিলিয়েট লিঙ্কের ব্যবহার করুন।

Affiliate product এর প্রমোশন কিভাবে করবেন ?
এ সম্পর্কে বিস্তারিত আগেই আলোচনা করা হয়েছে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি যে আর্টিকেল লিখছেন তা যেন অবশ্যই আকর্ষণীয় হয় যাতে আপনার শ্রোতা ওই আর্টিকেলের প্রতি আকস্মিত হয়ে প্রোডাক্ট কেনার চিন্তাভাবনা করে।
আপনার আয় করা টাকা কিভাবে তুলবেন আপনি?
এটা একটি অত্যন্ত সহজ প্রক্রিয়া আপনি আপনার আয়ের টাকা সহজেই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিতে পারবেন।
FAQ:

Q. অনলাইনের মাধ্যমে তে এফিলিয়েট মার্কেটিং যারা করে তাদের কি বলা হয় ?

যারা এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত তাদের কে  এফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে বলা হয় সমাজের মধ্য।

Q. এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো অনলাইন তে?

প্রশ্নের উত্তর আগেই দেওয়া হয়েছে যদি আপনার ফলোয়ার থাকে সেটাকে কাজে লাগিয়ে শুরু করতে পারেন যা লাভজনক হবে।

Q. কিভাবে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবো?

আপনি বাড়িতে বসে এটি মোবাইল নিয়েই শুরু করতে পারবেন । পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।

Affiliate marketing হলো আজকের দিনের একটি সেরা মাধ্যম , বর্তমান সময়ে আপনি বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে এটি করতে পারবেন এতে সহজেই আপনি কিছু পরিমাণ টাকা রোজগার করতে পারবেন যা পরবর্তীতে লক্ষাধিক পরিমাণ টাকা তো দাঁড়ায় বর্তমানে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ব্লগাররা ইউটিউবাররা প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করছেন।

আপনার শুরুতে একটু বেগ পেতে হবে একটু খুঁটিনাটি পড়ে নিতে হবে এফিলিয়েট প্রোডাক্ট সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে সিলেক্ট করতে হবে কোন প্রোডাক্টকে আপনি প্রচার করবেন সেটাকে।

তবে আপনি আপনার জ্ঞানকে আরো মজবুত করার জন্য বিভিন্ন ইউটিউবের ভিডিওতে দেখুন এবং এর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করুন আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করেছি যে সমস্ত তথ্য তা হল নিম্নরূপ যেমন,

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি (what is affiliate marketing in Bangla)? এটিকে কিভাবে শুরু করবেন? এর থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন ? ও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করবেন ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে আশা করি আপনাদের আমার বিশেষ প্রতিবেদনটি ভালো লাগবে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি প্রতিবেদনটি আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দিতে পারেন ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।