গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মাসিক আয় কেমন

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ?  গ্রাফিক্স ডিজাইন পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি

গ্রাফিক্স ডিজাইন পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব!
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ? গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে কি বুঝায় ?
গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবো ?
একজন গ্রফিক্স ডিজাইনারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয় ?
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয় ?
গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে ?
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র কোথায় হতে পারে ?
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে ?

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মাসিক আয় কেমন ?
কিভাবে সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া যায় ?
গ্রাফিক্স ডিজাইন পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন:
গ্রাফিক্স ডিজাইন শুরু করার আগে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে !
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কয়েকটি ধাপ:
কোথায় শিখবো গ্রাফিক্স ডিজাইন ?
ঘরে বসে অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবো ?
গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগে ?
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ? গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে কি বুঝায় ?

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি বা কাকে বলে ? গ্রাফিক্স ডিজাইনের কথা শুনলেই আমরা যা কল্পনা করি তা হলো: লোগো ডিজাইন, কার্ড ডিজাইন, ফ্লাইয়ার ডিজাইন, ইন্টারফেস ডিজাইন এগুলো। বাস্তবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের অর্থ অনেক ব্যাপক। গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো একটি মননশীল প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ায় একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন ভিজুয়্যাল এলিমেন্ট (লাইন, কালার, টেক্সচার ইত্যাদি) দ্বারা তার চিন্তা ও মননশীলতার বহিপ্রকাশ ঘটায় অথবা সোসাইটিকে অর্থবহ মেসেজ দিয়ে থাকে অথবা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তুলে ধরে। আর এ জন্যই গ্রাফিক্স ডিজাইনকে বলা হয় “আর্ট অব কমিউনিকেশন”।

অন্যদিকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কথা বললে যে দুটি সফটওয়্যার এর কথা সবার চোখের সামনে ভেসে উঠে তা হলো অ্যাডোবি ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ফটোগ্রাফি রিটাচ, ফটো ম্যানিপুলেশান, প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট, থ্রিডি অ্যানিমেশন, মোশন গ্রাফিক্স, মাল্ডিমিডিয়া প্রোডাকশন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এই দুইটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।

তবে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলেই যে আপনাকে ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর শিখতে হবে তা নয়! কর্মক্ষেত্র, নিজের ব্যবসা, ব্যক্তিজীবন প্রতিটি ক্ষেত্রকে আরও অর্থবহ করে তুলতে পারে এই দুইটি সফটওয়্যার এর ব্যবহার। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার গ্রাহকের চাহিদা ও প্রজেক্টের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ইমেজ, ডিজাইন বা ভিজুয়াল কন্টেন্ট তৈরির দায়িত্বে থাকেন। বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে ম্যাগাজিন – বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রে এ পেশার চাহিদা রয়েছে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবো

আমাদের চারপাশে অনেক কিছুই আমাদের নজর কাড়ে, মনে প্রশান্তি আনে। কলেমের খোঁচায় যেমন লেখনী ফুটে উঠে, তেমনি তুলির ছোঁয়ায় ফুটে ওঠে রঙের খেলা, মন ভোলানো ডিজাইন। যুগের পরিবর্তনে সবকিছুই এখন আধুনিক হয়েছে, সেই সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ডিজাইনারের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। অন্যান্য সকল পেশা থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশাটি ঝামেলা মুক্ত এবং বেশ নিরাপদ। কারণ, বর্তমান বাজার চাহিদা অনুযায়ী গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের অভাব খুব কমই হয়।

১) ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশের স্বপ্নের ও সবচেয়ে দামী ক্যারিয়ারের নাম গ্রাফিক্স ডিজাইন। এটি অতি আকর্ষণীয় একটি পেশা।
২) প্রায় সকল ক্ষেত্রেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যবহার দেখা যায়। এখন আমাদের চারপাশে এমন কোন ক্ষেত্র নাই যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন
এর প্রয়োজন দেখা যায়না।What is graphic design?,

৩) বিভিন্ন ধরণের ইন্টারঅ্যাক্টিভ মিডিয়া, কর্পোরেট রিপোর্টস, জার্নাল, মার্কেটিং, ব্রোশিওর, সংবাদপত্র এবং বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান
গুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা, মূল্যায়ন ও বাজারদর এখন প্রায় আকাশ ছোঁয়া।
৪) এছাড়াও ফ্রীল্যান্সার মার্কেটপ্লেস গুলোতেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যেমন,
Fiverr.com, 99desgin.com, elance.com, freelancer.com, guru.com, Upwork.com ইত্যাদি সাইটগুলোতে প্রতিদিন শত শত কোম্পানি বা ক্লায়েন্ট গ্রাফিক্সের কাজ এর
জন্য দক্ষ ডিজাইনারের সন্ধান করছে এবং এইসব দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদেরকে অনেক ভাল স্যালারি দিয়ে হায়ার করে নিচ্ছে।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয় ?
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনে প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতার চেয়ে কাজের দক্ষতার উপর বেশি জোর দেয়া হয়। তবে আমাদের দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ বিষয়ের উপর ডিপ্লোমা ডিগ্রি ও সার্টিফিকেট কোর্স নিতে পারেন।

বয়সঃ কোন প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে যোগ দিতে হলে কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই।
অভিজ্ঞতা ও পোর্টফোলিও এ পেশায় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য রয়েছে। সাধারণত ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে আসে। বড় কোন প্রজেক্টে কাজ করার জন্য পোর্টফোলিও থাকা অত্যন্ত জরুরি।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয় ?
প্রজেক্টের উপর টেকনিক্যাল জ্ঞানের ধরন নির্ভর করে। সাধারণত যেসব গ্রাফিক্স সফটওয়্যারে দক্ষতা দরকার হয়ে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • Adobe Photoshop
  • Adobe Illustrator
  • Adobe InDesign
  • Adobe PageMaker
  • GIMP
  • Inkspace
  • CorelDRAW
  • QuarkXPress
  • QuarkXPress

টেকনিক্যাল জ্ঞানের পাশাপাশি আলাদা কিছু দক্ষতাও অর্জন করতে হবে আপনাকে। এর মধ্যে রয়েছে:

সৃজনশীল উপায়ে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
অস্পষ্ট কোন ধারণাকে ডিজাইনার মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তোলা।
বিশ্লেষণী ক্ষমতা, যা খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে পারে।
নিজে নিজে কাজ করার পাশাপাশি অন্যদের সাথেও কাজ করার মানসিকতা থাকা।
বিভিন্ন ধরনের কাজ একসাথে সামলানোর দক্ষতা।

প্রথমেই আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সেক্টরগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে যেমন UI, UX, visual, interaction, motion, print design, packaging design, art & illustration ইত্যাদি। এইগুলো নিয়ে আপনাকে গবেষণা করতে হবে। এর ভেতর থেকে আপনার যে সেক্টর ভাল লাগবে সেটা দিয়েই আপনি শুরু করতে পারেন,আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের যাত্রা। বলে রাখা ভাল কখনো ও এক সাথে সবগুলো সেক্টর নিয়ে শুরু করবেন না প্রথমে একটি একটি সেক্টর নিয়ে শুরু করবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে ?
আমরা প্রথমেই জেনে নিই গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে বা তার কাজ কি। তার আগে বলি, গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো আর্ট বা কলা’র এ মাধ্যম। ডিজাইনার তার কাজের মাধ্যমে এন্ড ইউজার অর্থ্যাৎ সর্বশেষ ব্যবহারকারীর মধ্যে একটি ভালো প্রভাব ফেলতে পারেন। যেটি সেই ব্যবহারকারীর ব্রেইন এ একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলেন তিনি, যিনি গ্রাহকের চাহিদানুযায়ী বেশ কিছু কালার, টাইপফেস, ইমেজ এবং অ্যানিমেশন ব্যবহারের মাধ্যমে তার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হন। এটার আউটপুট ডিজিটাল বা প্রিন্ট উভয়ই হতে পারে। আর বর্তমান সময়ে সচরাচর পাওয়া বিভিন্ন টুলস ও লেআউট ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজকে আরো বেশি ক্রিয়েটিভ ও গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করে বাড়তি তৃপ্তি দিতে পারছেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে যেখানে চাকরি পাবেন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের দায়িত্ব হলো তার কাজ, পণ্য বা সেবার ওভারঅল লুক ও ভাবমূর্তি ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া ডিজাইন করা যতোই ভালো পণ্য হোক না কেনো সেটি প্রথমেই ব্যর্থ হবে। তাই একটি নিদ্দিষ্ট পরিকল্পনা ও ক্রিয়েটিভিটি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মানকে উন্নত করে। তাই নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করতে পারলে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের অভাব হয় না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সম্প্রতি দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে প্রায় ৩৫ শতাংশ গ্রাফিক্স ডিজাইনার আত্বনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র কোথায় হতে পারে ?
ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া: কয়জন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজের সঠিক মূল্যায়ন ও ভাগ্যকে পরিবর্তন করার যে ক্ষেত্রটি পান সেটি হলো ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া। এখানে বিশেষত টেক্সট, গ্রাফিক্স, ভিডিও, অ্যানিমেশন, অডিওসহ যেকেনো কিছু এবং এ সম্পর্কিত সব কিছুই নিয়ে কাজ হয়। আমার মতে ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া হলো তেমনই একটি ভালো নিশ যেখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন।

প্রমোশনাল ডিসপ্লে: 
সাধারণত যারা বড় ধরনের বা বড় আকারের কাজ করতে চান বা কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন তাদের জন্য এটি একটি ভালো মাধ্যম। এ কাজগুলো মূলত বিভিন্ন অ্যাডমিডিয়াতে পাওয়া যায়। এখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে বিভিন্ন ধরণের বিলবোর্ড ডিজাইন এবং একই ধরণের প্রোমোশনার ডিসপ্লে ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে হয়।

জার্নাল: 
বিভিন্ন ধরণের জার্নালগুলো (বিষয়ভিত্তিক বা ব্যাঙ্গাত্বক) ক্রিয়েটিভ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এখানে সাধারণত পাঠককে আকৃষ্ট করার কাজটি করতে হয়। এখানে আপনাকে ছোটখাটো লোগো, ইমোটিকন থেকে শুরু করে কমপ্লিট কাভার ডিজাইন করতে হতে পারে।

কর্পোরেট রিপোর্টস: এটি রেগুলার জব না হলেও কম নয়, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন কোম্পানির কর্পোরেট রিপোর্ট তৈরি করে ভালোমানের আয় করতে পারেন। এটা অনেকটাই প্রফেশনাল কিন্তু মোটেই বোরিং কাজ নয়। কাজের মধ্যে অনেক স্বাচ্ছদ্য বোধ করা যায়।

মার্কেটিং ব্রোশিউর: 
এটিও অনেকটাই প্রোমোশনাল ডিসপ্লের কাজের মতো। এখানে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবা নিয়ে ডিজাইনের কাজটি করতে হবে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া যেহেতু কাজটি সম্ভব নয়, তাই এখানেও আপনার কাজের ক্ষেত্রটি হতে পারে।

সংবাদপত্র: 
গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া সংবাদপত্র! মোটেই সম্ভব নয়। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার একটি সংবাদপত্রকে ঠিকই সংবাদপত্রেরই মতো করে তোলেন। ফাইনাল লেআউট দেওয়ার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার অবশ্যই জরুরী। এখানে আপনার পেশার সন্মানটাও বেশি। তাই সংবাদপত্র একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য একটি সাফল্যজনক কাজের ক্ষেত্র।

ম্যাগাজিন: 
এটাও মূলত সংবাদপত্র ও জার্নালের মতো। তবে ম্যাগাজিনে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের পরিমান অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। কারণ ম্যাগাজিনে ভিজ্যুয়াল লেআউট বেশি থাকে। তাই ম্যাগাজিনের প্রত্যেকটা প্রকাশনার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার, অবশ্যই আবশ্যক। এটাও আপনার যথোপযুক্ত কাজের ক্ষেত্র হতে পারে।

লোগো ডিজাইন: 
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হলো লোগো ডিজাইন। এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করতে বেশি সময় লাগে না। আপনার ক্রিয়েটিভিই হলো লোগো ডিজাইনের মূল কথা। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তার প্রতিষ্ঠানের লোগো তৈরির জন্য একজন ফ্রিল্যান্স লোগো ডিজাইনার অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইনারে খোঁজ করেন। তাই আপনি সহজেই কাজ পাবেন এবং ভালো করতে পারলে তাদেরকেই আপনার রেগুলার বায়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট ডিজাইন: 
সবশেষে বললেও একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজের ক্ষেত্র ওয়েবসাইট ডিজাইন। লোকাল মার্কেট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটাই বলি না কেনো প্রতিনিয়ত ওয়েব ডিজাইনের কাজের পরিমাণ বাড়ছে। তাই ওয়েবসাইট ডিজাইন করেও আপনা গ্রাফিক্স ডিজাইনার পেশাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন নিদ্দিষ্ট লক্ষ্যে।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার যেমন:

ক্লায়েন্টের বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেয়া ও পুরো কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে যোগাযোগ রাখা।
ডিজাইনের প্রাথমিক লেআউট তৈরি করা।
প্রজেক্টের জন্য গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন কিংবা ডিজিটাল ফটোগ্রাফি ডিজাইন করা।
ক্লায়েন্টের বা প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রাথমিক ডিজাইন উপস্থাপন করা।
প্রজেক্ট বা প্রতিষ্ঠানের সাথে ডিজাইনের সামঞ্জস্য বজায় রাখা।
প্রয়োজন হলে ডিজাইন এডিট করা।

কাজ শেষ হবার পর ক্লায়েন্টের কাছে মূল ডিজাইন হস্তান্তর করা।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে ?
গ্রাফিক্স ডিজাইনে অভিজ্ঞতার সাথে আয় বাড়লেও অন্যান্য ক্যারিয়ারের মতো খুব বেশি পদ নেই। এন্ট্রি লেভেলে অ্যাসিস্ট্যান্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু হতে পারে। তবে মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে সিনিয়র পদে উন্নীত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

অনেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার ওয়েব ডিজাইনের কাজ শিখে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) বা ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইনার হিসাবেও কাজ করে থাকেন।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মাসিক আয় কেমন

প্রতি মাসে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় কত হতে পারে? এ সম্পর্কে ডিজাইনারদের বেতন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ডিজাইনার স্যালারিজ-এর মতে, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি বছরে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ১ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। বাংলাদেশে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ডিপ্লোমাধারীর বেতন মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে ব্যাচেলর ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীদের বেতন মাসিক ৪০ হাজার টাকা থেকে ২-৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি একটি লগো ডিজাইন করলে ৫০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এটি ৫ থেকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্তও হতে পারে। 

একটি ওয়েবসাইটটের প্রথম পেজ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। পূর্ণাঙ্গ একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন করে পাওয়া যায় ২শ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। ব্র্যন্ড অপটিমাইজেশন এবং ব্রশিউর তৈরির প্রজেক্টগুলোও ৩০০ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে আয় করতে পারেন ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। আপনার কাজের পোর্টফোলিও যত ভালো হবে, আয় তত বেড়ে যাবে। বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক কাজের বাইরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে রয়েছে ভালো অর্থ আয়ের সুযোগ।

কিভাবে সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া যায়

এক জন সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে আপনার জ্ঞান শক্তির চেয়ে কল্পনা শক্তি বেশী প্রয়োজন । যার কল্পনা শক্তি যত বেশী তার ডিজাইন তত বেশী ক্রিয়েটিভ হয় । যখন আপনি একটি ডিজাইন করবেন তখন আপনাকে ভাবতে হবে আপনি এখন অন্য কোন জগতে আছেন যেখানে শুধু আপনি আছেন এবং আপনার সারা মস্তিস্ক জুড়ে রয়েছে সেই ডিজাইন তখন আর কোন চিন্তা করবেন না চিন্তা এক টাই নতুন কিছু করা । অনেক সময় দেখা যায় একজন নতুন ডিজাইনার আপনার চেয়ে সুন্দর কাজ করতে পারে কিন্তু আপনি পুরাতন হয়েও পারেন না কারন তার চেয়ে আপনার কল্পনা শক্তি কম।

গ্রাফিক্স ডিজাইন পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন শুরু করার আগে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে !
মন স্থির অনেকই হুজুগে চলে।কথায় আছে আমরা হুজুগে বান্গালী। কে কি করল না করল ওমুক ওইটা দিয়ে ভাল করেছে আমিও এইটা দিয়ে ভাল কিছু করতে চাই। না এইটা ভাল লাগছেনা এইটা বাদ এইটা দিয়ে ইনকাম কম হয় ওইটা শিখলে ইনকাম ভাল হবে। ভাই থামেন! আগে প্রযোজন আপনার মনস্হির। আপনার মনটাকে শান্ত করে ভাল করে সিদ্ধান্ত নিন কোনটা শিখবেন। 

আপনি ফ্রিলেন্সিং করার জন্য যদি কাজ শিখেন আমি মনে করি প্রত্যেকটা ক্ষেত্ররই অনেক চাহিদা এবং এগুলোর চাহিদা সারা জীবন থাকবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমি কোনটা পারব বা কোনটা শিখব। আমি বলব আপনি সবগুলোই পারবেন। আপনার যেটা ভাল লাগে যেকোন একটা বিষয় নিয়ে কাজ শেখা শুরু করে দিতে পারেন। কখনই এইভেবে আসবেনা যে এই কাজটা শিখলে ইনকাম টা বেশী হবে। তাই আপনার আগে প্রয়োজন মনস্হির করা। মনটা ঠিক করেন এবং ভাল করে যাচাই বাচাই করে দেখুন আপনার দ্বারা কোন কাজটা হবে।

আত্ব:বিশ্বাস
অনেকেই ডিজাইন শিখতে আসেন। প্রথম প্রথম খুব বেশী আগ্রহ। কোন ট্র্রেনিং সেন্টারে প্রলোভন বিজ্ঞাপন হয়তবা চোখে পড়েছিল ২-৩ মাসে ডিজাইন শিখে ৫০,০০০ টাকা প্রতিমাসে অায় করুন। ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং করে আশানুরুপ ফলাফল না পেয়ে ডিজাইন শিখা এখনেই শেষ অথবা টিউটরিয়াল কালেক্ট করে হার্ডডিস্ক এ লাল বাত্তি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।।২-৩ মাস পর কোন কিছু না করতে পেরে বলে থাকেন গ্রাফিক ডিজাইন অনেক কঠিন কাজ আমার দ্বারা এটা হবেনা 🙁 কখনও এই কথাটা ভাববেননা আমার দ্বারা কিচ্ছু হবেনা। এই কথাটা যদি মনে করেন তাহলে আসলেই আপনার দ্বারা কিছুই হবেনা। শুধু ডিজাইন শিখতে না আপনার সব কিছুতে আত্ব:বিশ্বাস থাকা প্রয়োজন। হ্যা! আমার দ্বারা এটা হবেই। আমি এটা করতে পারব এবং যে কোন কিছু বিনিময়ে আমাকে আমার লক্ষ অর্জন করতে হবে।

ধৈর্য
ডিজাইন শিখতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। আপনাকে একটা রুটিন একটা সঠিক নিয়ম, গাইডলাইন ফলো করে আপনাকে কাজ শিখতে হবে। একদম প্রথম দিকে আপনাকে টানা ৭-৮ ঘন্টা কাজ করার প্রয়োজন নেই। কাজ করবেন খুব কম সময় বাট রিসার্চ করবেন বেশী বেশী। বেশীর ভাগ মানুষ ডিজাইন শিখা থেকে ঝড়ে পরে ধৈর্য না থাকার কারনে। সুতরাং গ্রাফিক ডিজাইনে আসার আগে আপনাকে ধৈর্যশীল হয়ে আসতে হবে।

হতাশ না হওয়া
গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে গিয়ে আপনাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়তে পারেন। হতে পারে আপনার বন্ধু বান্দবের কাছ থেকে টিটকারি, ফ্যামিলি থেকে বাধা, ব্লা ব্লা ব্লা…এইগুলো কোন কিছু কানে তোলা যাবেনা। যে যত কথাই বা যে যাই বলুক আপনাকে আপনার জায়গায় ঠিক থাকতে হবে এবং লক্ষ অর্জন না হওয়ার আগ পর্যন্ত পরিশ্রম করে যেতে হবে। কোন অবস্হা তে হতাশা হওয়া যাবেনা। যখন যে বাধায় পড়বেন ঠান্ডা মাথায় সেটা সমাধান করার চেস্টা করার চেস্টা করবেন। আমার দেখা অনেকেই আছে যাদের গ্রাফিক ডিজাইন শিখার মাঝখান থেকে ঝড়ে পড়েছে। তার এক মাত্র কারন ছিল অল্পতেই হতাশ হয়ে যাওয়া। ডিজাইন শুরু করার পরে আপনাকে কখনই হতাশ হওয়া যাবেনা।

ইন্টারনেট সম্পর্কে ভাল ধারনা
গ্রাফিক ডিজাইন শিখার আগে যদি আপনি ইন্টারনেট ব্রাউজিং সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকে তাহলে খুব অল্প সময়ে ভাল করতে পারবেন বলে আশা করি। প্রথমত গুগল কে কিভাবে ইউজ করবেন সেটা ভাল করে শিখতে হবে। একজন দক্ষ ডিজাইনার হতে চাইলে ইন্টারনেট ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আপনি ডিজাইন শিখার জন্য সব ধরনের ডিজাইন রিসোর্স ইন্টারনেট থেক সংগ্রহ করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কয়েকটি ধাপ:
১ম ধাপ:
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে অবশ্যই আপনার প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি ও ধৈর্য্য থাকতে হবে। আপনি যদি মনে করেন কিছুদিন গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে রিচার্স করে ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখে নিজেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে দাবী করবেন তাহলে আপনি ভুল করবেন এবং শুরুতেই আপনাকে হোচট খেতে হবে। যখন আপনি আপনার মাইন্ড সেট করবেন হ্যা যে করেই হোক গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবো দেন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে স্ট্যাডি শুরু করে দিতে পারেন।

২য় ধাপ:
এ পর্যায়ে এসে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের টুলস এবং সফটওয়্যার সংগ্রহ করতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের পপুলার দুইটি সফটওয়্যার এডোবি ইলেস্ট্রেটর এবং এডোবি ফটোশপ সংগ্রহ করে শেখা শুরু করে দিন। প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার যদি সফটওয়্যারগুলো কিনে ব্যবহার করার মতো সামর্থ্য না থাকে তাহলে ইন্টারনেট ঘেটে পাইরেটেড মানে হলো ক্র্যাক করে সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।এডোবি ইলেস্ট্রেটর এবং ফটোশপ শেখার ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে, সেখান থেকে যে কোন একটি চ্যানেল আপনার পছন্দনুযায়ী ব্যাসিক টুলস থেকে শেখা শুরু করে দিন। 

ইউটিউব ছাড়াও বর্তমানে বাংলাতেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর অনেক ব্লগ রয়েছে চাইলে সেখান থেকেও শিখতে পারেন। পাশাপাশি আন্তজার্তিকভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর অনেক ব্লগ, ফরাম রয়েছে সেখানে যোগদান করে সেখান থেকেও শিখতে পারেন।
চাইলে আপনি ভাল কোন ট্রেইনার অথবা ভাল কোন গ্রাফিক্স ডিজাইন ট্রেনিং সেন্টারে ও ভর্তি হতে পারেন, পাশাপাশি আন্তজার্তিক মানের ভাল ভাল ডিজাইনারদের অনলাইন ভিডিও কোর্স ক্রয় করে সেগুলো দেখে শিখতে পারেন।

৩য় ধাপ:
এ পর্যায়ে এসে আপনার পেশার সাথে সম্পৃক্ত এমন লোকদের খুজে বের করতে হবে। মানে অন্যান্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সাথে আপনার যোগাযোগ রাখতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পকৃতি বিভিন্ন গ্রুপে আপনাকে এড হতে হবে এবং আপনার ডিজাইন তাদের সাথে শেয়ার করতে হবে। তাদের মন্তব্যগুলো ভাল ভাবে খেয়াল করতে হবে। কোথায় আপনার ভুল আছে, কোথায় আরও শিখতে হবে, ফন্ট পছন্দ, কালার ঠিক ঠাক আছে কিনা তা তাদের কমেন্টস এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন।

৪র্থ ধাপ:
ইংরেজিতে একটি কথা আছে “practice makes a man perfect” হ্যা আপনাকে অনেক প্র্যাকটিস করতে হবে। অনান্য ডিজাইনারদের ডিজাইনগুলো ফলো করতে হবে। তাদের ডিজাইন গুলো নিয়ে রিচার্স করতে হবে। একটি ডিজাইন করতে তারা কি কি ফন্ট ব্যবহার করছে, কি কালার ব্যবহার করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রয়োজনে আপনি তাদের ডিজাইনগুলো দেখে দেখে সেইম ডিজাইন করে বানানোর চেষ্টা করবেন। এভাবে যত প্র্যাকটিস করবেন তত আপনার ডিজাইন স্কীল ডেভেলপ হবে কেননা প্রতিটা নতুন ডিজাইন কপি করতে গিয়ে আপনি এক একটি করে নতুন সমস্যার সম্মুখে পড়বেন আর তার সমাধানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় রিচার্স করতে থাকবেন।এতে করে অনেক নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারবেন।

৫ম ধাপ:
এ পর্যাযে আপনি একজন নিজেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে দাবী করছেন এবং মোটামাটি ভাল বেতনে কোন প্রতিষ্ঠানে জব অথবা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করছেন। কিন্তু বর্তমানে যে প্রতিযোগী পরিবেশ সেখানে আপনাকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই অন্য সবার থেকে আলাদা হতে হবে, অর্জন করতে আরও নতুন নতুন স্কীল। সব সময় নতুন কিছু শেখার মন মানসিকতা থাকতে হবে এবং প্রযুক্তির সাথে নিজেকে আপগ্রেড রাখতে হবে।
উপরোক্ত ধাপগুলো ফলো করতে পারলেই আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন।

কোথায় শিখবো গ্রাফিক্স ডিজাইন
বর্তমানে দেশে অনেক কোচিং সেন্টার বা ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে যেখানে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর একটি ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারবেন। তবে এক এক ট্রেনিং সেন্টারের কোর্সের মেয়াদকাল ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কোনটা ৬ মাস, আবার কোনটা ৮ মাস কিংবা ১ বছর। এ সকল কোচিং বা ট্রেনিং সেন্টার থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর প্রচলিত কোর্স করতে পারেন। এ সকল জায়গা থেকে শিখলে আপনি শেখার পাশাপাশি পরিপূর্ণ গাইডলাইন পাবেন।

ঘরে বসে অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবো ?
এখন আপনারা যদি ঘরে বসেই ফ্রীতেই গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ শিখতে চান, তাহলে সেটার জন্য কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে।

১) YouTube ভিডিও দেখে।
২) বিভিন্ন Tutorial Websites এ গিয়ে।
৩) Udemy র মাধ্যমে কোর্স করে।

ঘরে বসে Graphic Design শেখার জন্য প্রথমেই আপনারা Adobe Photoshop, CorelDraw, Adobe Illustrator এগুলির মতো সফটওয়্যার বা গ্রাফিক্স টুল ব্যবহার করা শিখুন।

এই ধরণের গ্রাফিক্স টুলের ব্যবহার শিখলে আপনারা Logo, Business ও Visiting cards, Nameplate Design এর মতো অনেক ডিজাইন বানিয়ে নিতে পারবেন।

গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগে ?
গ্রাফিক ডিজাইন শেখা বা ক্রিয়েটিভিটি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় বলা কঠিন। তবে আপনাকে মিনিমাম ৬ মাস সময় দিতে হবে নিজেকে গ্রাফিক ডিজাইনে স্কিলড করার জন্য।

তাহলে, গ্রাফিক্স ডিজাইন কি বা কাকে বলে, এর চাহিদা কত এবং চাকরির সুযোগ রয়েছে কি না ? ইত্যাদি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে মোটামুটি সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে গেছেন।
একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনার রেগুলার নতুন নতুন দক্ষতা এবং জিনিস শিখতে থাকতেই হবে। শেষে, আপনার শেখা কাজ এবং অভিজ্ঞতা আপনাকে সফলতার রাস্তায় নিয়ে যাবে।