যেভাবে গেম ডেভেলপাররা আয় করেন
অন্যান্য সফটওয়্যারের চেয়েও গেম তৈরিতে শ্রম এবং খরচ—দুটিই হয় অনেক বেশি। কিন্তু এর পরও দেখা যাচ্ছে নির্মাতারা বিনা মূল্যেই সেগুলো গেমারদের খেলার সুযোগ দিচ্ছেন। প্রশ্ন জাগতে পারে—এসব গেমের ডেভেলপাররা আয় করেন কিভাবে? জানাচ্ছেন মোহাম্মদ তাহমিদ
How Game Developers Earn
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইন-গেম পারচেসের (গেমের খেলার সময় পয়েন্ট এবং গেমের মূল চরিত্রটির উন্নতি করা যায় এর মাধ্যমে) মাধ্যমে ডেভেলপাররা টাকা আয় করলেও কিছু গেমার বছরের পর বছর খেলে যান কোনো টাকা খরচ না করেই, আবার তাঁদের ইন-গেম পারচেস করার জন্য বাড়তি চাপও দেওয়া হয় না। সে ক্ষেত্রে গেম নির্মাতারা আয় করেন ইন্টারফেসের মধ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করে।
গেমের মধ্যে বিজ্ঞাপন বসানোর ধারণাটি শুরু হয়েছিল আইফোনের থেকে, পরে সেটা অ্যানড্রয়েডেও যুক্ত করা হয়। মোবাইল গেমের পর পিসি, এখন গুঞ্জন চলছে কনসোল গেমেও বিজ্ঞাপন যুক্ত করা হবে। গেমের মধ্যে বিজ্ঞাপন কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর বলা যেতে পারে ‘প্লেয়েবল অ্যাড’—যেগুলো মিনি গেমের মতো খেলা যায়।
এরপরই আছে ‘রিওয়ার্ড ভিডিও’, যেগুলো দেখে গেমের মধ্যে আইটেম পেতে পারেন গেমাররা। এ ধরনের বিজ্ঞাপনগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ক্লিক পড়ে, ফলে এ ধরনের বিজ্ঞাপনে খরচ করতেও সংস্থাগুলোর আগ্রহ বেশি। আরেক ধরনের বিজ্ঞাপনও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে, তা হচ্ছে ‘ইন্টারসিশিয়াল’।
এটা গেম ইন্টারফেসের অপ্রয়োজনীয় অংশে থাকা বিজ্ঞাপন বা গেমের দুনিয়ার মধ্যেই হাজির হওয়া অ্যাড। যেমন—গেমে থাকা কোনো শহরে থাকা বিলবোর্ডে বাস্তব দুনিয়ার কোনো ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন।
ইন-গেম পারচেসের জন্য গেমারদের ওপর চাপ দেওয়ার আছে বেশ কিছু উপায়, যদিও তার একটিও দীর্ঘ মেয়াদে কাজের নয়। বেশ কিছু জনপ্রিয় গেম এরই মধ্যে ব্যবসা গোটাতে বাধ্য হয়েছে শুধু ইন-গেম পারচেস ছাড়া জেতার উপায় না রাখার কারণে। এদিকে মাল্টিপ্লেয়ার গেম কিনে খেলার বদলে বিনা মূল্যে খেলা শুরু করে, এরপর অল্প কিছু আইটেম কেনার প্রতিই গেমারদের ঝোঁক বেশি, যেটা তুমুল জনপ্রিয় গেম ‘পাবজি বা ডাটা ২’-এর মধ্যে দেখা গেছে। তাই গেম নির্মাতাদের জন্য বিজ্ঞাপনই বলা যেতে পারে আয়ের মূল উৎস।
সাম্প্রতিক সময়ের আয়রনসোর্সের করা এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, সঠিকভাবে বিজ্ঞাপন ব্যবহারে উল্টো ইন-গেম পারচেসে উৎসাহিত হন গেমাররা। ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখে পুরস্কার হিসেবে প্রিমিয়াম আইটেম পাওয়ার পর সেগুলো ব্যবহার করে আরো প্রিমিয়াম কনটেন্টের জন্য ইন-গেম পারচেস করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন গেমাররা। ফলাফল বিজ্ঞাপনদাতা এবং গেম নির্মাতা দুই পক্ষই লাভবান।
একই গবেষণায় গেমাররা বলেছেন, তাঁরা গেম খেলার মাঝখানে বিজ্ঞাপন দেখতে রাজি আছেন যদি গেমটি বিনা মূল্যে খেলা যায়। বিশেষ করে প্রতি লেভেল বা মাল্টিপ্লেয়ার ম্যাচের মাঝখানে ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখা নিয়ে তাঁদের সমস্যা নেই। ভিডিও দেখে যদি পুরস্কার পাওয়া যায়, তাহলে আরো ভালো। কিন্তু বিজ্ঞাপনের আধিক্য আর ইন-গেম পারচেসের মাধ্যমে প্রিমিয়াম আইটেম না কিনে গেমে জেতার উপায় না রাখার মতো কাজগুলো তাঁদের গেমটি খেলা থেকে বিমুখ করে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় গেম বাজারজাত করার মডেল এই বিজ্ঞাপন ও ইন-গেম পারচেসযুক্ত প্রিমিয়াম মডেল। বর্তমানে স্মার্টফোন গেমেই মডেলটি সবচেয়ে জনপ্রিয়, কিন্তু দ্রুতই পিসি ও কনসোলেও যুক্ত করা নিয়ে কাজ করছে মাইক্রোসফট এবং সনি। মজার বিষয়, পূর্ণ দামে গেম বিক্রির চেয়ে প্রিমিয়াম মডেলেই গেম থেকে নির্মাতাদের আয় হয় সবচেয়ে বেশি। দ্রুতই সব গেমের মধ্যেই বিজ্ঞাপন হাজির হয়ে যাবে।
টিকটকে পড়েন ইয়াহিয়া, দেখেন লাখো অনুসারী
যুক্তরাজ্যের ‘ইউনিভার্সিটি অব সারে’-এর বিজনেস এবং মার্কেটিংয়ের ছাত্র ইয়াহিয়া মোগারবেল। ২২ বছর বয়সী এই ছাত্রের রয়েছে চার লাখ ৬৯ হাজার টিকটক অনুসারী। তাঁর তৈরি করা ভিডিওতে নেই কোনো নাচানাচি কিংবা গান। শুধু টেবিলে বসে তিনি পড়াশোনা করে যান। এই ভিডিও আবার দেখে লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু কেন? জানাচ্ছেন আল সানি
টিকটকে পড়েন ইয়াহিয়া, দেখেন লাখো অনুসারী
লাখো অনুসারীর ‘ভার্চুয়াল স্টাডি পার্টনার’ হিসেবে এভাবেই টিকটকে পড়তে বসেন ইয়াহিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনিবাসের ছোট এক কক্ষে থাকেন ইয়াহিয়া মোগারবেল। অন্যদিনের মতো আজও মোবাইলের ক্যামেরা চালু করে পড়তে বসলেন। সামনে ছোটখাটো আকৃতির কম্পিউটার মনিটর। বাঁয়ে একটি ঘড়ি আর ডানে রাখা হোয়াইট বোর্ড। সেই হোয়াইট বোর্ডে লেখা ‘স্টাডি উইথ মি...’। ইয়াহিয়া এবার পড়া শুরু করলেন, মোবাইলের আগে থেকেই চালু করে রাখা টিকটক সঙ্গে সঙ্গে শুরু করল লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং। এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা...এভাবেই সময় পার হয় আর ইয়াহিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে কয়েক লাখ টিকটক অনুসারী।
ইয়াহিয়ার স্ট্রিমিং করা ভিডিওগুলোতে অসাধারণ কিছু নেই, এমনকি টিকটক যে কারণে বিখ্যাত সেই ধরনের কোনো নাচ বা গানের দৃশ্যও অনুপস্থিত সেখানে। কোনো ধরনের কথোপকথন ছাড়াই এগিয়ে চলে তাঁর পড়াশোনা। মাঝে মাঝে পাশে রাখা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবার লেখাপড়ায় মন দেন তিনি।
ব্যাকগ্রাউন্ডে বেইসে চলে মৃদুস্বরে মিউজিকের শব্দ, কখনো আবার কানে এসে লাগে কি-বোর্ডের টুংটাং শব্দ। সপ্তাহে বেশ কয়েকবার ইউনিভার্সিটি অব সারের ছাত্রনিবাসে থাকা নিজের বেডরুম থেকে এভাবেই লাইভ করেন ইয়াহিয়া মোগারবেল।
লন্ডনে বেড়ে ওঠা ইয়াহিয়ার টিকটকে যাত্রা শুরু দুই বছর আগে। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে একপ্রকার ব্যস্ত রাখার উদ্দেশ্যেই শুরু করেন টিকটক। প্রথম দিকে প্রতিটি ভিডিও থেকে কয়েক হাজার ফলোয়ার পেতেন। হঠাৎ করেই ইয়াহিয়া তাঁর ভিডিওর বিভিন্ন মন্তব্য দেখে জানতে পারলেন তিনি এখন শুধু টিকটকেই সীমাবদ্ধ নন, অনেকেই তাঁকে বাস্তবজীবনেও অনুসরণ করা শুরু করেছে এবং তাঁর সঙ্গে পড়াশোনাটাও চালিয়ে নিচ্ছে কেউ কেউ।
এই অনুপ্রেরণাতেই সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি নিজের প্রতিটি কাজের লাইভও করেছেন তিনি। তবে ইয়াহিয়ার বেশির ভাগ লাইভ স্ট্রিমিং চালু হয় সন্ধ্যায়। সারে থেকে চার হাজার মাইলেরও বেশি দূরের শহর সেন্ট লুই মিসৌরির ২৪ বছর বয়সী ইয়াহিয়ার অনুসারী কেসি কিথ প্রতি সপ্তাহে দুবার ইয়াহিয়ার সঙ্গে পড়তে বসেন।
তিনি বলেন, ‘একদিন পড়ার টেবিলে বই রেখে টিকটক স্ক্রল করতে করতেই একটি লাইভ স্ট্রিমিং দেখি, যেখানে একজন পড়াশোনা করছেন এবং অন্যদেরও তাঁর সঙ্গে পড়তে আহ্বান করছেন। সেই লাইভের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমিও পড়তে শুরু করি। আমার মেডিক্যাল ডিগ্রি অর্জনের পথে এ রকম একজন স্টাডি পার্টনার সত্যিই প্রয়োজন ছিল।’
দ্য ওপেন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল টেকনোলজির সিনিয়র লেকচারার ড. লে-অ্যান পেরিম্যান ইয়াহিয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘পুরোপুরি একা লেখাপড়া করতে গেলে দুটি জিনিসের অভাব হতে পারে—একটি একাগ্রতা, অন্যটি হচ্ছে অনুপ্রেরণা। এই দুটি অভাব থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে আনতে স্টাডি উইথ মি ধারণাটি বেশ সফল।’
করোনা মহামারির পর থেকে যুক্তরাজ্যের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই ঘরে বসে লেখাপড়ায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। একা পড়াশোনার ক্ষেত্রে ইয়াহিয়ার লাইভ স্ট্রিম এবং ভিডিও বেশ সাহায্য করছে এসব শিক্ষার্থীকে।
টিকটক অ্যাপের একজন মুখপাত্রের বরাতে জানা যায়, টিকটকে #studztok হ্যাশট্যাগ যুক্ত ভিডিও আছে ৪০০ কোটি এবং #studzinspiration হ্যাশট্যাগযুক্ত ভিডিও আছে ৫০ লাখেরও বেশি। তবে টিকটকে ইয়াহিয়ার ভিডিওর সংখ্যা ১০০টিরও কম। বাংলাদেশি কেউ ইয়াহিয়ার স্টাডি পার্টনার হতে চাইলে তাঁকে খুঁজে নিতে পারেন টিকটকে @ymoug নামে সার্চ দিয়ে।
গ্রহান্তরি ঘরবসতি
গ্রহান্তরে মানববসতি স্থাপন করা নিয়ে সায়েন্স ফিকশনের বই ও গেমের অভাব নেই। তবে নতুন গ্রহে বসতি তৈরি নিয়ে খুব একটা মোবাইল গেম নেই। সেই ঘাটতি পূরণ করতেই কি না জনপ্রিয় ‘টেরাজেনেসিস’ সিরিজের নতুন গেম হাজির হয়েছে।
মহাকাশযানে করে নতুন গ্রহে পৌঁছানো মাত্রই শুরু ‘টেরাজেনেসিস : ল্যান্ডফল’ গেমের কাহিনি। প্রথমেই তৈরি করতে হবে কমান্ড সেন্টার, এরপর একে একে গবেষণাকেন্দ্র, অক্সিজেন প্লান্ট, খাবারের ফার্ম, লোহার আকর পরিশোধনকেন্দ্র। নতুন মহাকাশযান ল্যান্ড করার জন্য জায়গাও তৈরি করতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে নতুন সব সেটেলার একে একে হাজির হতে থাকবে, তাদের ট্রেনিং দিয়ে নানা ধরনের কাজে লাগানো যাবে।
মূলত নতুন স্থাপনা তৈরি, তার মধ্যকার প্রযুক্তি উন্নতি করা, সেখানে দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগানো এবং তাদের ব্যবহার করে নতুন স্থাপনা তৈরির মাধ্যমে বসতির পরিধি বাড়ানোই গেমটির কাজ। এর সঙ্গে আছে অনুসন্ধানকারী দল পাঠিয়ে নতুন সব খনিজের সন্ধান করা বা নতুন বসতি স্থাপনের জায়গা বের করা। একাধিক বসতি তৈরি করার পর ধীরে ধীরে অন্যান্য গ্রহেও অভিযান চালানোর ক্ষমতা অর্জন করা যাবে।
শুধু একের পর এক নতুন বসতি তৈরিই নয়, বরং বিদ্যমান জায়গার নানা সমস্যার সমাধানও গেমটির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। যারা বেইস বিল্ডিং গেম খেলেছে তারা জানে মাঝে মাঝে হাস্যকর ধরনের কঠিন সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তখন দেখা যাবে মূল পরিকল্পনা বাদ দিয়ে শহর টিকিয়ে রাখতেই গেমারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রতুিটি কাজের জন্যই প্রয়োজন নানা ধরনের রসদ। কাঁচামাল, জনবল এবং টাকা—তিনটারই দরকার সমানে সমান। নতুন গ্রহে বাসস্থান মাত্রই তৈরির কাজ চলছে, জনবলের তীব্র সংকট হবে সেটাই স্বাভাবিক। বুদ্ধি খাটিয়ে অল্প জনশক্তির মধ্যেই যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। নতুন গ্রহে কাঁচামালের অভাবও প্রচুর, অন্তত শুরুর দিকে। শহর সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় সব স্থাপনা না গড়লে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
গেমটির গ্রাফিকস মানানসই, তবে ইন্টারফেস বাটনগুলো একেবারেই পুরনো ধাঁচের। মনে হতে পারে কোনো ছাত্র পরীক্ষামূলকভাবে গেমটি বানিয়েছে। বেশ কিছু গেমপ্লে বাগ এখনো রয়ে গেছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা, গেমটিতে খুব বাজেভাবে ইন-অ্যাপ পারচেস ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু দূর খেলার পরই গেমটির নানা রসদ আর পয়েন্ট না কিনলে এগোনো বেশ কঠিন হবে।
খেলতে পারবে সবাই, খেলার জন্য লাগবে অন্তত অ্যানড্রয়েড ৮, ৪ গিগাবাইট র্যামসমৃদ্ধ ডিভাইস। তবে কিছুটা শক্তিশালী ডিভাইস, যেমন—স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ বা ততোধিক ডিভাইস হলে খেলা যাবে হাই গ্রাফিকসে।
ডাউনলোড লিংক https://urlzs.com/tczRU [অ্যানড্রয়েড]
https://apps.apple.com/us/app/terragenesis-landfall/id1608876858 [আইওএস]
অ্যাপগুলো ভিটামিন নেওয়ার হিসাব রাখে
অনেক সময় চিকিৎসক খাবারে অতিরিক্ত পুষ্টি যোগ করতে বলেন। ফলে তখন ভিটামিন নেওয়াটা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এদিকে আবার মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণে হতে পারে হাইপারোভিটামিনোসিস। তবে চিন্তা নেই। এমন বেশ কয়েকটি অ্যাপ রয়েছে, যা ভিটামিন নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপশি কতটুকু নিচ্ছেন সেটাও খেয়াল রাখবে। এর জন্য রয়েছে বেশ কিছু অ্যাপ।
ভিকা ভিটামিন ট্র্যাকার
অ্যাপটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে আপনার ভিটামিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট গ্রহণ ট্র্যাক করতে পারেন। অ্যাপটির ডায়েরি ট্যাবে আপনি প্রতিদিন যে খাবার খান তা যুক্ত করতে পারবেন। ফলে আপনার খাবারে কী ধরনের পুষ্টিগুণ থাকছে তা বলে দেবে। এ ছাড়া আপনার প্রিয় খাবার এবং রেসিপিগুলোকে ডায়েরিতে যুক্ত করতে পারবেন। অ্যাপটি আপনাকে একটি সাপ্তাহিক এবং মাসিক রিপোর্টও দেবে। ব্যবহারকারীকে ভিটামিন নেওয়ার নিদিষ্ট সময় নোটিফিকেশনের মাধ্যমে মনে করিয়ে দেওয়ার সুবিধাও রয়েছে এই অ্যাপে।
ডাউনলোড লিংক https://urlzs.com/gVzU1
ভিটামিন চেক
এই অ্যাপটি যদিও ভিটামিন গ্রহণের পরিমাণ ট্র্যাক করে না, তবে এটি পুষ্টি সম্পর্কে আপনার জানাশোনা বাড়াবে। এমনকি কোন খাবার থেকে কোন পুষ্টি পাবেন তা-ও বলে দেবে। অ্যাপটিতে একটি রোগ নির্ণয় ফিচার রয়েছে, যেখানে আপনার রোগের লক্ষণগুলো লিখে দিলে সম্ভাব্য রোগ জানা যাবে। কোনো ভিটামিন সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই ভিটামিনের নামের ওপর ট্যাপ করলে বিস্তারিত উৎস জানতে পারবেন। চাইলে গুগল ক্যালেন্ডারের সঙ্গে অ্যাপটির লিংক করতে পারবেন।
ডাউনলোড লিংক https://urlzs.com/bjQpB
ক্যালরি কাউন্টার
এই অ্যাপটিতে ডায়েট সঠিকভাবে পরিচালনাসহ ভিটামিন গ্রহণ ট্র্যাকিং ফিচার রয়েছে। বিভিন্ন পুষ্টির তথ্য ছাড়াও অ্যাপের মেন্যুতে থাকা ভিটামিন ট্যাবের মাধ্যমে প্রতিদিন কী খাচ্ছেন তার একটি নোট বা তালিকাও করতে পারেন। এ ছাড়া খাবারের পরিপূরক (সাপ্লিমেন্ট) সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। ধরুন, আপনি যে জিংক ট্যাবলেট গ্রহণ করছেন, সেটা যদি নামিদামি ব্র্যান্ডের হয়, তবে ট্যাবলেটটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অ্যাপটিতে পাবেন।
ডাউনলোড লিংক https://urlzs.com/7JNcE
লাইফসাম
এই অ্যাপে খাবারের ডায়েরি, টিউটরিয়ালসসহ অনেক ধরনের সহায়তা পাওয়া যাবে। অ্যাপটির প্রিমিয়াম প্যাকেজ কিনলে পাওয়া যাবে ম্যাক্রো-ট্র্যাকিং সুবিধাও। পুষ্টিসম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ও ভিটামিন গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা সুবিধা তো থাকছেই।
ডাউনলোড লিংক https://urlzs.com/i3eo3
ক্রোনোমিটার
ক্রোনোমিটার লাইফসামের একটি দুর্দান্ত বিকল্প অ্যাপ। এর লে-আউট আরো সহজতর এবং এতে আরো বেশি ফিচার বিনা মূল্যে পাওয়া যায়। আপনি যখন পুষ্টি সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইবেন, অ্যাপটিতে বিভিন্ন খাবার, ভিটামিন, খনিজ সম্পর্কে তথ্য ভেঙে ভেঙে সুন্দর করে উপস্থাপন করা আছে। এ ছাড়া আপনার ডায়েট ডায়েরিতে খাবার যোগ করার সঙ্গে সঙ্গে সাপ্লিমেন্ট বা বিকল্পও খুঁজতে পারবেন।
তবে দারুণ ফিচারটি পেতে সেটিংসে গিয়ে টার্গেটস অপশন ক্লিক করে নিউট্রেশন টার্গেটস ক্লিক করুন। ফিচারটির মাধ্যমে দৈনন্দিন কতটুকু ভিটামিন গ্রহণ করছেন এবং সর্বোচ্চ কত গ্রহণ করতে পারবেন তা দেখা যাবে। উপরন্তু আপনার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পুষ্টি সম্পর্কে আপনাকে পরামর্শ দেবে।
ডাউনলোড লিংক https://urlzs.com/gRky1
মাইপ্লেট ক্যালরি ট্র্যাকার
মাইপ্লেট সহজে ক্যালরি গণনার একটি অ্যাপ, যার মাধ্যমে ভিটামিন গ্রহণের নিরীক্ষণ বা ট্র্যাকিং করা যাবে। অ্যাপটি খাবার এবং ব্যায়াম উভয়ই ট্র্যাক করতে ব্যবহার করা যাবে এবং এটি গুগল ফিটের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবেন। অ্যাপটিতে গোল্ড মেম্বারশিপ ছাড়াই আপনি প্রতিটি খাবারের মৌলিক প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট দেখতে পারবেন। তবে প্রিমিয়াম সদস্যরা আরো ভালো পুষ্টিতথ্যসেবা পাবেন। তাই ভিটামিন গ্রহণ ট্র্যাকিং করতে অ্যাপটি সাবসক্রাইব করে নিতে পারেন।
ডাউনলোড লিংক https://urlzs.com/rHJv6
টেকইউরপিলস
অ্যাপটির মাধ্যমে সাপ্লিমেন্ট (যেমন—ভিটামিন, আয়রন ট্যাবলেট) গ্রহণ করা ট্র্যাক করা যাবে। অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীর একটি ডায়েরি থাকবে এবং এটিতে তিনি ওষুধ, ডোজ এবং নোট যোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি এটি ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের অগ্রগতি, সেই সঙ্গে তিনি কত ঘন ঘন ভিটামিন গ্রহণ করেন তা লিপিবব্ধ করে রাখবে।
ডাউনলোড লিংক https://urlzs.com/bcvgc
0 Comments